দেশের উন্নয়নে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে মন্ব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডক্রে সদস্য জাহাঙ্গীরণ কবির নানক বলেছেন, ‘উন্নয়নবিরোধী’ বিএনপিকে আগামী নিরবাচনে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) বাংলঅদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হলগুলোর সমন্বিত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শেখ হাসিনা সরকারই করে দিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। এই মেট্রোরেল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ঢাকা তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে। ঢাকা শহরে ফ্লাইওভার হওয়ার মধ্যে দিয়ে ঢাকা সিঙ্গাপুরের মতো হয়েছে।

দেশের কোনো মানুষ এখন আর খালিপায়ে হাটতে দেখা যায় না। এখন আর কেউ গৃহহীন নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য গৃহ এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ২০ হাজার ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকার পুনর্বাসিত করেছে।

এই পরিস্থিতি তাদের ভালো লাগে না। যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে তাদের ভালো লাগে না। কাদের ভালো লাগে না? যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরোধিতা করেছে, যাদের মনে সাম্প্রদায়িকতা প্রোথিত তাদের। এদের কোনো কিছুই ভাল লাগে না। তাদের ভালো লাগে না রোগে পেয়েছে। এই রোগের ওষুধ আমাদের কাছে নাই। জনগণের কাছে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ সে ওষুধ ব্যবহার করে তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে”, বলেন তিনি।

কারও দয়ায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেননি উল্লেখ্য করে সাকে এই মন্ত্রী বলেন, টানা ১৩ বছর একটানা ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন, দেশে ফিরে এসে মানুষের দোরগোড়ায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবেন। সেই সংকল্প নিয়ে লড়াই করেছেন তিনি। বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তাকে। তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এখন বলা হচ্ছে তাদের নেতৃত্বে একদফা ভিত্তিক জোট গঠন হবে। কাদের ভয় দেখায়? যারা আইয়ুব, ইয়াহিয়া খানকে মোকাবিলা করেছে তাদের? ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। জনগণের শক্তিই হলো শেখ হাসিনার শক্তি। জনগণের শক্তি দিয়ে এটি মোকাবিলা করা হবে। এ দেশে বিরোধী দল করতে হলে তাকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে হবে।

গণতন্ত্রের লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়েছিল ছাত্রলীগই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সকল আন্দোলনের স্রষ্টা, সূতিকাগার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের চির ঠিকানা, আমাদের উত্থান এখান থেকেই। এখান থেকেই আমরা ছাত্রলীগের পদ-পদবী পেয়েছি।’

এ সময় সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুসজ্জিত সম্মেলন আয়োজন করায় ছাত্রলীগ নেতাদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা বি এম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাঁধনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

 

কলমকথা/বি সুলতানা